শিরোনাম
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩:৩০, ৩ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩২, ৩ মে ২০২৫
শ্রীমঙ্গলের চা বাগানের কোল ঘেঁষে চলা মনোমুগ্ধকর ভানুগাছ সড়ক। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
এই সড়কটি যেনো চা-বাগানের সবুজ চাদরে মোড়ানো এক ফুলের রাজ্য। যেখানে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য আর মানুষের ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার হয়। এটা শুধু একটি রাস্তা নয়, বরং একটি অনুভূতি, একটি স্মৃতির খাতা। যেখানে প্রতিটি ফুল, পাতার দোল আর বাতাসের সুবাস রচনা করে এক জীবন্ত কাব্য।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে বেরিয়ে ভানুগাছ সড়ক ধরে হাঁটলে কিংবা গাড়িতে চড়লে, রাস্তার দুই পাশে চোখ জুড়ানো সবুজ চা-বাগান দেখতে পাবেন। সকাল বেলা সূর্যের আলো চা-পাতায় ঝিলমিল করলে মনে হবে গাঢ় সবুজের ওপর পড়েছে সোনালি কিরণের পরশ। আর এখন এই সবুজের মাঝে যোগ হয়েছে আরও একটি সৌন্দর্য, নানান রঙের ফুল। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কয়েক বছর আগে যেসব ফুলের গাছ লাগানো হয়েছিলো, আজ সেগুলোতে ফুটেছে লাল, হলুদ, বেগুনি, সাদা ও গোলাপি ফুল। ফুলের ঘ্রাণে মাতাল বাতাসে উড়ছে প্রজাপতি আর মৌমাছি। পর্যটকদের কেউ কেউ বলছেন, “এ যেন রূপকথার ফুলের রাজ্য”।
ভানুগাছ সড়কের পাশে রয়েছে বধ্যভূমি-৭১, টি-রিসোর্ট অ্যান্ড মিউজিয়াম, গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট, এবং কিছুদূর এগুলেই দেখা মিলবে জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়া- এর প্রবেশপথ। যেটি জীববৈচিত্র্যের এক অপার ভাণ্ডার।
আর গ্র্যান্ড সুলতানের বিপরীতে যে সড়কটি চলে গেছে, সেটি নিয়ে যাবে রাধানগর পর্যটন গ্রামে। এখানে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক হোটেল ও রিসোর্ট। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের আলাদা জোন।
এখন গ্রীষ্মকাল হলেও শ্রীমঙ্গলের এই অঞ্চলে রয়েছে শীতের মতো হালকা ঠান্ডা। রাতের বেলায় হাল্কা কম্বলে ঘুম। এ যেন অন্য রকম অভিজ্ঞতা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি, আবার হঠাৎ রোদ। প্রকৃতির এই মেজাজ ভ্রমণপ্রেমীদের মনকে আরও রোমাঞ্চিত করে তোলে।
স্থানীয়রা বলছেন, “ভানুগাছ সড়ক ধরে হাঁটলে মনে হবে সময় যেন থেমে গেছে। গাছের পাতার সাথে ফুলের মিলনে এক অপূর্ব পরিবেশ তৈরি হয়েছে।”
স্থানীয় ট্যুর গাইডরা জানান, এই সড়কটি শ্রীমঙ্গলের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পর্যটকরা এখানে এসে প্রকৃতির ভালোবাসায় সিক্ত হন।
রিসোর্ট মালিকরা জানান, যারা প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে চান, তাদের জন্য এটি এক আদর্শ স্থান। প্রতিটি কোণ যেন ছবি তোলার মতো নিখুঁত।
বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানান, এটা কোনো রাস্তা নয়, বরং প্রকৃতির এক অনবদ্য সৃষ্টি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ