শিরোনাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:২২, ৩ মে ২০২৫
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে অভিযুক্তরা। ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী নারীর বক্তব্য অনুযায়ী, গত দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নাজমুল খন্দকার। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। সম্পর্কের বিষয়টি নাজমুলের পরিবারও জানতেন এবং শুরুতে মেনে নেন। একপর্যায়ে নারীটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে, অভিযুক্ত পরিবার তাকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার রয়েল ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করান। চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই তারা তাকে হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগীর দাবি, প্রেম ও বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকাও হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। পরে আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালতের নির্দেশে শৈলকূপা থানায় মামলা (নং ০৪/২৫) রেকর্ড করা হয়।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, “দুই বছর ধরে নাজমুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক। তার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত থাকায় তার বাবা কামরুল ইসলামসহ পরিবারের সবাই আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েছিলো। কিন্তু, আমি গর্ভবতী হয়ে পড়লে নাজমুলের পরিবারের লোকজন আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা জোরপূর্বক আমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে দেয়।”
এ বিষয়ে কৃষকদল নেতার ছেলে নাজমুল খন্দকার বলেন, “ওই নারীর অভিযোগ সত্য নয়। সে একজন প্রতারক। আমার নামে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা, তা জানি না।”
নাজমুলের বাবা শৈলকুপা উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগকারী ওই নারী সম্পর্কে আমি খুব বেশি কিছু জানি না। তবে সে আমার বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। গর্ভপাত ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
এ সময় তিনি প্রতিবেদককে নিউজটি এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
শৈলকুপা থানার এস.আই. সম্রাট মন্ডল বলেন, “ওই নারীর অভিযোগ পেয়ে পারিপার্শ্বিকতা ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।”
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, “ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা সেটা জেনেছি। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ হাতে পেয়েছি। আদালত মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা এক্সপ্রেস/এনএ