ঢাকা, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

৪ আষাঢ় ১৪৩২, ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
এসএসএফ সদস্যদের জনসংযোগ ও নিরাপত্তার মেলবন্ধনের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
Scroll
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে আধা কিলোমিটার নিয়ে গেল বাস, নিহত ২
Scroll
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Scroll
সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাসের পাইপ লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন
Scroll
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ইরান কখনোই জায়নবাদীদের সঙ্গে আপস করবে না
Scroll
ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়ুক— এমনটি চায় না অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক: জরিপ
Scroll
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

পাঁচ রাজাকারকে হত্যা করা সখিনা বেগম মারা গেছেন 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫:১৬, ১৭ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৭:২৯, ১৭ জুন ২০২৫

পাঁচ রাজাকারকে হত্যা করা সখিনা বেগম মারা গেছেন 

মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম । ছবি সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় তিনি বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন ।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহানা মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তাকে আসরের নামাজের পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। আজ আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

কিশোরগঞ্জের নিকলীর উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনিও সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। 

জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সখিনা বেগম নেমে পড়েন সশস্র যুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগ্নে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহীদ হোন। ভাগ্নের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে নিয়ে আসেন একটি ধারালো দা। পরে সেই দা দিয়েই নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। সখিনা বেগমের ওই দা বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। একাত্তরের সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পান।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ

আরও পড়ুন