শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:১৬, ১৭ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৭:২৯, ১৭ জুন ২০২৫
মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম । ছবি সংগৃহীত
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহানা মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তাকে আসরের নামাজের পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে। আজ আসরের নামাজ শেষে নিকলী উপজেলার গুরুই মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে গুরুই এলাকার কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
কিশোরগঞ্জের নিকলীর উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনিও সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সখিনা বেগম নেমে পড়েন সশস্র যুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে সখিনা বেগমের ভাগ্নে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে হানাদার পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে শহীদ হোন। ভাগ্নের অকালমৃত্যু সখিনাকে প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সখিনা বেগম গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। আসার সময় সেখান থেকে নিয়ে আসেন একটি ধারালো দা। পরে সেই দা দিয়েই নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। সখিনা বেগমের ওই দা বর্তমানে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। একাত্তরের সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পান।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এসএ