শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:২১, ২৯ মে ২০২৫
সাক্ষীদের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভ সড়কে শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহা গাড়ি থেকে নেমে নিরস্ত্র অবস্থায় ছিলেন। তখন তাঁকে দুটি গুলি করা হয়, পরে আরও দুটি। এরপর গলায় পা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় বলেও আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এই ঘটনায় গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে যায়। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “মেজর সিনহার মৃত্যু গোটা জাতিকে এমনভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে যে থাই পাহাড়ের মতো ভারী হয়ে আছে।”
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ শুনানি শেষে ২ জুন রায়ের দিন ধার্য করেছেন। গত ২৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি প্রায় এক মাস ধরে চলেছে।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত এই মামলার রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড: বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
যাবজ্জীবন: টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, এবং স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।
খালাস: সাতজন।
রায়ের পর মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং আসামিরা আপিল করেন। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম ও দুলাল মল্লিক।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ