শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৩৬, ২৭ মে ২০২৫
যে বাড়িতে ছিলেন মোল্লা মাসুদ ও শুটার আরাফাত
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় মাস আগে এলাকায় নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে আসেন দুই যুবক। মৃত মীর মহিউদ্দিনের বাড়ির পেছনের একটি ফ্ল্যাটে তারা থাকতেন। আচরণে খুব একটা সন্দেহজনক কিছু না থাকলেও হঠাৎ করে মঙ্গলবার ভোররাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে, যখন সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ও সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায় ওই বাড়ির আশপাশে।
বাড়িটির নিচতলায় বসবাসকারী এক শিক্ষার্থী জানান, “ভোরে প্রথমে শব্দ পাই, এরপর দেখি সেনা সদস্যরা পুরো বাড়ি ঘিরে রেখেছে। সকালে ৮টার দিকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে হাতকড়া পরা এক দাড়িওয়ালা লোককে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শুনি, তিনি সুব্রত বাইন।”
অভিযান শেষে এক সেনা সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়েছি। সুব্রত বাইন ও তার সহযোগীদের আটক করা হয়েছে।”
সুব্রত বাইন এক সময় ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ চক্র ‘সেভেন স্টার’ বাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ভারত ও নেপালে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তার ফের ঢাকায় ফিরে আসা এবং কুষ্টিয়ায় অবস্থান করাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছিল।
সেনা অভিযানে সুব্রত বাইনের গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, “এত বড় সন্ত্রাসী আমাদের পাড়ায় ছিল, ভাবতেই গা শিউরে উঠছে।”
এ ঘটনায় সেনাবাহিনী বা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো প্রেস ব্রিফিং করেনি। তবে গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আটককৃতদের ঢাকায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং পুরনো মামলাগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা যাচাই করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ