শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৩, ২৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ১০:১৫, ২৭ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। আদালত জানান, রাষ্ট্রপক্ষ আনা অভিযোগগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি এবং সাক্ষ্য-প্রমাণে পর্যাপ্ত অসঙ্গতি ছিল।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারুল ইসলামকে ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং দুটি অভিযোগে যথাক্রমে ২৫ বছর ও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল— গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ।
রায়ে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে তিনি স্থানীয় রাজাকার বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আপিল করেন আজহারুল ইসলাম।
২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। তবে পাঁচ নম্বর অভিযোগে তাকে খালাস দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ প্রকাশিত হয় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়, যার বিরুদ্ধে একই বছরের ১৯ জুলাই রিভিউ আবেদন করেন আজহার। ২৩ পৃষ্ঠার আবেদনে তিনি আদালতের পর্যবেক্ষণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের মূল্যায়নে ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আজহারকে পূর্ণাঙ্গ আপিলের অনুমতি দেয়। পরে শুনানি সম্পন্ন হলে আজ আদালত তাকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দেন।
আজহারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে আদালত ন্যায়বিচার করেছেন। তিনি আরো বলেন, এ রায়ে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আইন ও সংবিধানের ঊর্ধ্বে কেউ নয় এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ সবার জন্য সমানভাবে হওয়া উচিত।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ