শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৪৯, ২৭ মে ২০২৫
বর্তমানে আজহারুল ইসলাম কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধানে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল’ (পিজি হাসপাতাল)-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আপিল মঞ্জুরের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালেই তাকে হাসপাতাল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এটিএম আজহারুল ইসলাম পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে এজলাসে উঠে মাত্র ৫ মিনিট পর শুরু হয় রায় পাঠ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক এবং প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আসামিপক্ষে ছিলেন শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ইমরান সিদ্দিক ও নাজিব মোমেন। আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের শীর্ষ নেতারাও।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করে ২০১৯ সালে তা বহাল থাকলেও পরে রিভিউ আবেদনে আংশিক পরিবর্তন আসে।
২০২০ সালে দাখিল করা রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। এরপর আপিল গ্রহণ করে আজ তাকে খালাস দেওয়া হয়।
আজহারের বিরুদ্ধে একাত্তরে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, অগ্নিসংযোগসহ ভয়াবহ অপরাধের অভিযোগ ছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ