শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০:০৮, ২৭ মে ২০২৫
ঘটনার দিন ১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে, সাম্য ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান খাবার খেতে। ওই উদ্যানে মাদক ব্যবসার সক্রিয় চক্র রয়েছে। মাদক কারবারিদের একজন রাব্বীর হাতে থাকা ট্রেজার গান দেখে সেটি সম্পর্কে জানতে চান সাম্য। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়, তখন সাম্যকে সুইস গিয়ারে আঘাত করা হয়—ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
ঘটনার পরপরই রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ডিবি মামলাটি তদন্তে নেয়। ডিবির একাধিক দল ঢাকা, কক্সবাজার ও মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করে। মোট ১১ জন গ্রেপ্তার: রাব্বী, মেহেদী, পাভেল, রিপন, সোহাগ, রবিন, হৃদয়, সুজন সরদারসহ আরও তিনজন।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান—‘মেহেদী ছিল পুরো চক্রের দলনেতা। সে ঘটনার দিন একটি কালো ব্যাগে করে সুইস গিয়ার ছুরি সরবরাহ করে। তার দলের সদস্যরাই সরাসরি হামলায় অংশ নেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তদন্তে দেখতে পেয়েছি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক ব্যবসায়ীরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। একটি গ্রুপ তিন নেতার মাজারের পাশে, একটি মাঝখানে, একটি ছবির হাঁটে অবস্থান করে। সাম্যকে হত্যা করা গ্রুপটি মেহেদীর নেতৃত্বে পরিচালিত।’
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে দুইজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অন্যদিকে মেহেদীর দেখানো স্থানে মাটিচাপা দিয়ে রাখা অবস্থায় হত্যায় ব্যবহৃত দুটি সুইস গিয়ার ছুরি উদ্ধার করেছে ডিবি।
এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত ছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবির কর্মকর্তারা বলেন— ‘প্রাথমিকভাবে এটি তাৎক্ষণিক ঘটনার ফল বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে মূল আসামি রিমান্ডে এলে পরিকল্পনার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।’
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন— ‘যেখানে মাদক ব্যবসা হয়, সেখানে অস্ত্রের উপস্থিতিও থাকে। এটা শুধু বাংলাদেশেই না, বিশ্বব্যাপী এমনটাই হয়ে থাকে। কারণ মাদকের কারবার মানেই কাঁচা টাকার লেনদেন এবং সংঘাতের আশঙ্কা।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ