শিরোনাম
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:১৬, ১৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৪, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
ডেইলি পাকিস্তানের প্রতিবেদনে জানা যায়, আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যার শঙ্কা রয়েছে। তাই পুলিশকে হুমাইরা আসগরের পরিবারের পক্ষ এবং রাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করে একটি ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআরআই) করতে হবে।
পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, হুমাইরাকে হত্যা করা হয়েছে এবং মেকআপ আর্টিস্টসহ সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের এই মামলার তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে।
পিটিশনে আরো বলা হয়, মৃত্যুর পরও হুমাইরার ফোন মাসের পর মাস সচল ছিল। পরিচিত এক মেকআপ আর্টিস্টের একাধিক কল তিনি ধরেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে প্রোফাইল ছবি হঠাৎ সরিয়ে ফেলা হয়।
এ বিষয়টি নিয়েই সন্দেহ আরো গভীর হয়েছে। তাই পিটিশনে ওই মেকআপ আর্টিস্ট, হুমাইরার ভাইসহ কয়েকজনকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
করাচির ডিফেঞ্চ ফেজ-৬-এর গত ৮ জুলাই ইত্তেহাদ কমার্শিয়ালের একটি ফ্ল্যাট থেকে হুমাইরার পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, মরদেহের অবস্থার কারণে ধারণা করা হচ্ছে তিনি প্রায় আট মাস আগে মারা গেছেন।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হুমাইরা অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং শেষবার তিনি সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ একটি কমার্শিয়াল ফটোশ্যুটে অংশ নিয়েছিলেন। ফ্ল্যাট থেকে সংগৃহীত কিছু সামগ্রীর রাসায়নিক পরীক্ষায় পাওয়া গেছে সমুদ্র লবণ, যা দুর্গন্ধ নিবারণ এবং পোকামাকড় দূর করার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশের পর, পুলিশ হুমাইরার পরিবারের সদস্য ও নিকটজনদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে তদন্ত চালাবে।
সংশ্লিষ্ট সবাই মেকআপ আর্টিস্ট, ভাই এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে হুমাইরা আসগরের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দিকে নতুন এক ধাপ এগোলো। এতে করে ঘটনার প্রকৃত কারণ ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে সহজ হবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরই