ঢাকা, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

২৯ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

গরমে ডাবের দাম চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪:৫৫, ১১ মে ২০২৫

গরমে ডাবের দাম চরমে

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র তাপপ্রবাহে সারাদেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছেন। আবহাওয়া অফিস গরম কমার কোনো সুখবর দিতে পারেনি। এই সময়ে ডাব ও তরমুজের মতো ফলের চাহিদা বেড়েছে। ব্যবসার সহজ সূত্র ধরে চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে।  

রাজধানীতে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বড় আকারের ডাবের দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হাঁকছেন দোকানিরা। ছোট আকারের কচি ডাব কিনতে গেলেও গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। একটি ডাবে পানি মেলে গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার।

বিক্রেতারা দাবি করছেন, পাইকারি পর্যায়ে ডাবের দাম দুই সপ্তাহ ধরে ১০০টি ডাবে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা বেড়ে যাওয়ায় তাদেরও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে মূলত বরিশাল, পিরোজপুর, খুলনা, নোয়াখালী ও ময়মনসিংহ জেলা থেকে বেশি ডাব ঢাকায় আসে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, গরমের সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন দোকানিরা। 

রবিবার (১১ মে) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক, কৃষিবাজার, টাউন হল, বিমানবন্দর এলাকার হাজি ক্যাম্প ও কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, ডাবের দাম সর্বনিম্ন ১০০ টাকা। বড় আকারের ডাব (আধা লিটারের মতো পানি আছে বলে ক্রেতা বিক্রেতাদের দাবি) বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়। আবার কেউ কেউ ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকছেন। মাঝারি আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। ছোট আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়।

মোহাম্মদপুর শেখেরটেক বাজারে বেসরকারি চাকরিজীবী ইমতিয়াজ ফাহিম বলেন, ‘গরমে প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে দুই-তিনটি ডাব খাই। বর্তমানে ১২০ টাকার নিচে ডাব কেনা যায় না। দুই–দিন আগে আকারে একটু বড় ডাব খেয়েছি ১৮০ টাকা দিয়ে। আজকে প্রচণ্ড গরম। ধানমন্ডি থেকে মোহাম্মদপুর একটা কাজে এসেছি। শেখেরটেক বাজারে এসে অসহ্য গরমে ১৫০ টাকা টাকায় ডাব খাচ্ছি।’

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ডাব বিক্রেতা জুলহাস আলম বলেন, ‘পাইকারিতে ডাবের দাম বেড়েছে। মাসখানেক আগে প্রতি ১০০টি ডাবের দাম ছিল আট থেকে ১০ হাজার টাকা। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে পাইকারিতে কিনতে দিতে হচ্ছে আকারভেদে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

কারওয়ান বাজারে সাত বছর ধরে ডাবের ব্যবসা করেন মিনু মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘গরম এলে ডাবের দাম ও চাহিদা দুটোই বাড়ে। আমি প্রতি ১০০ ডাব কিনেছি ১২ হাজার টাকায়। সঙ্গে রয়েছে পরিবহন খরচ। এর মধ্যে কিছু ডাব ছোট; সেগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে প্রতিটি ১০০ টাকা করে। চালানের টাকা তুলতে বাধ্য হয়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করছি। আগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি ডাব বিক্রি করতাম। আর এখন বিক্রি করছি ২০০ থেকে ২৫০টি ডাব।’

আশকোনায় ডাব বিক্রেতা আবদুর রহিম বলেন, এমনিতেই হজ মৌসুমে ডাবের চাহিদা বেশি থাকে। এখন গরম বেশি পড়ায় এই চাহিদা আরো বেড়েছে। প্রতিদিন ২৫০-৩০০টি ডাব বিক্রি করতে পারি। 

মিরপুর-১৩ এলাকার বাসিন্দা ইমরোজ বলেন, ডাব তো পাওয়াই যাচ্ছে না। একটা ভ্যানে যা পেলাম দুটোর দাম চাইল তিনশো টাকা।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

আরও পড়ুন