ঢাকা, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম

Scroll
গাজীপুরের চান্দানায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ
Scroll
ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যাচ্ছে পাকিস্তান
Scroll
গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা
Scroll
জামায়াতের সাবেক নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন
Scroll
‘মানবিক করিডর’ বিষয়ে সরকার কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করেনি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান
Scroll
স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় বেসরকারি ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইউজিসি
Scroll
সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২২ হাজার ২০৩ জন হজযাত্রী, আরো একজনের মৃত্যু
Scroll
নির্বাচন কবে— বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে রাশিয়া: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
Scroll
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়ি থেকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Scroll
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাক, সতর্ক থাকার আহ্বান
Scroll
পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছে ভারত, এলওসি বরাবর ভয়াবহ সংঘর্ষ

‘অর্থনীতির জন্য আগামী ৭ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৪১, ২ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৪:১৪, ২ মে ২০২৫

‘অর্থনীতির জন্য আগামী ৭ মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, এই সময় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক গতি নির্ধারণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে  এসব কথা বলেন তিনি। পোস্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়টা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতেও পারে, আবার ব্যর্থ করতেও পারে।’

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক বন্দর পরিচালকদের সঙ্গে অংশীদারত্ব ছাড়া এটি সম্ভব নয়। সফল হলে এমন অংশীদারত্ব আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে একটি শক্ত বার্তা পৌঁছে দেবে, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।

বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল বা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পড়লেই বোঝা যায়, ব্রেটন উডস চুক্তির পর যে পুরোনো অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা গড়ে উঠেছিল এবং যা ডব্লিউটিও (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) দ্বারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল, তা এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

শফিকুল আলম লিখেছেন, সেই যুগের সবচেয়ে বড় বিজয়ীরা ছিল জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া; যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বাজারমুখী রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলে সমৃদ্ধ হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনও ধীরে ধীরে এই পথে অগ্রসর হয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়া পিছিয়ে ছিল।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘এখন হয়তো অবশেষে বাংলাদেশের সময় এসেছে। আমরা কি এই মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারব?’ রাজনীতি এখানে একটি মূল ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, তবে লজিস্টিক-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জই হতে পারে সবচেয়ে বড় বাধা। বৃহৎ পরিমাণ পণ্য দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিবহনের সক্ষমতা শিগগিরই পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ যে একটি উৎপাদনশীল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়, সে আকাঙ্ক্ষা মুখ থুবড়ে পড়বে। 

ঢাকা এক্সপ্রেস/এসএসবি/আরইউ

আরও পড়ুন