শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৫৭, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:১৬, ২২ এপ্রিল ২০২৫
গাজায় ত্রাণ পৌঁছায় না ৫০ দিন, ক্রমেই খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, বিমান হামলায় গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পানি সংকট চরমে উঠেছে, নষ্ট হয়ে পড়েছে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। উদ্ধারকর্মীদের হাতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই, অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।
আলজাজিরার গাজা প্রতিনিধি জানান, ওষুধের সঙ্কটে হাসপাতালগুলো অচল। ২ মার্চ থেকে নতুন করে অবরোধ শুরু হওয়ার পর কোনো ওষুধই প্রবেশ করেনি। ফলে শত শত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দাই নারী ও শিশু। এভাবে সাধারণ মানুষকে সমষ্টিগত শাস্তি দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার এক দিনেই ইসরায়েলি হামলায় ৩৯ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলা হামলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ২৪০ জন নিহত এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৩১ জন আহত হয়েছেন। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
এদিকে গাজায় ১৫ জন জরুরি সেবাকর্মী নিহতের ঘটনায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক তদন্তে দাবি করেছে, ভুল বোঝাবুঝি ও নির্দেশ অমান্য করায় এই ঘটনা ঘটে। সেনারা সেবাকর্মীদের শত্রু ভেবে গুলি চালায় বলে জানিয়েছে আইডিএফ। তবে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এটি দায় এড়ানোর চেষ্টা মাত্র।
এছাড়া গাজায় চলমান মানবিক সংকটের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মিসরের কপটিক খ্রিষ্টান চার্চের প্রধান পোপ টাওয়াড্রোস দ্বিতীয় বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনিদের ওপর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অবিচার। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন তারা নিজেদের মাতৃভূমি ধ্বংস হতে দেখছেন।’
অধিকৃত সিরীয় এলাকা পরিদর্শন করেছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির। সেখানে তিনি সেনাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং নতুন সামরিক পরিকল্পনা অনুমোদন দেন। বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার দখলদারিত্ব আরও দীর্ঘায়িত করারই ইঙ্গিত দিচ্ছে এই সফর।
জামির বলেন, ‘সিরিয়া এখন ভেঙে পড়া রাষ্ট্র। তাই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আমরা এখানে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়ে আছি।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি