শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৪৬, ৫ মে ২০২৫ | আপডেট: ১০:৫২, ৫ মে ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরো ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ হাজার ৫৩৫ জনে পৌঁছেছে বলে রবিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আহত আরো ১২৫ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ১৮ হাজার ৪৯১ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা এক হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
এদিকে গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫২ হাজার ৪৯৫ জনে এবং এক লাখ ১৮ হাজার ৩৩৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে আবারো গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে দুই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
জানা গেছে, গাজায় সামরিক অভিযান তীব্র করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আরো ৬০ হাজার সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ