শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১১:০০, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেমের স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩’-এর ১০(২) ও ১২(২) ধারা অনুযায়ী উভয় কর্মকর্তাকে তাদের নিজ নিজ পদ থেকে প্রত্যাহারপূর্বক পূর্বের বিভাগে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত আসে কুয়েট শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ ৬৫ দিনের আন্দোলন এবং ৫৮ ঘণ্টার অনশনের প্রেক্ষিতে। আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি ছিল, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
এর আগে, ২৩ এপ্রিল রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। একইসঙ্গে, একটি সার্চ কমিটি গঠন করে নতুন উপাচার্য নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানানো হয়। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়ে নিতে জ্যেষ্ঠ কোনো অধ্যাপককে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদল ও বহিরাগত বিএনপিপন্থী নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতা এবং ছাত্ররাজনীতিকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। ২১ এপ্রিল থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, এবং বেশ কয়েকজনকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করাও হয়।
অব্যাহতির ঘোষণা আসার পরও উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগ করেননি। বরং জানা যায়, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলম নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিবর্তে অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি