শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২:১৫, ২৬ মে ২০২৫
একেএম শহীদুল করিম, মনোয়ার হোসেন এবং মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম
মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং সদর দফতরকে শক্তিশালী করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে এনে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, ‘একসময় রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরিয়ে আনার চল ছিল না। কিন্তু এখন নিয়মিত রোটেশনের মাধ্যমে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দেশেও কাজে লাগানো হচ্ছে।’
সূত্র জানায়, এই তিন রাষ্ট্রদূতই প্রায় আট বছর ধরে বিদেশে কর্মরত, যদিও সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী দুইবারের পোস্টিং শেষে (প্রায় ছয় বছর) তাদের দেশে ফেরার কথা। নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে গেলে দীর্ঘ সময় এক জায়গায় দায়িত্ব পালনের প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী পাঁচটি অতিরিক্ত সচিবের পদ থাকলেও বর্তমানে মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট ব্যতীত সবগুলো পদ শূন্য রয়েছে। ফেরত আসা কূটনীতিকদের মধ্য থেকে এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “এই পদগুলো পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমে সদর দফতরের কাঠামোগত ঘাটতি অনেকটাই পূরণ সম্ভব হবে।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামকে পরবর্তী পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী মাসেই তিনি নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তার দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বিভিন্ন দূতাবাসে রদবদল ও কর্মকর্তাদের রোটেশন সম্পন্ন করার প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র জানায়, “শুধু রাষ্ট্রদূত নয়, একাধিক কূটনীতিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আবার কেন্দ্র থেকেও কিছু কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে, যাদের দ্রুত গন্তব্যে যোগ দিতে বলা হয়েছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন ওয়াশিংটনসহ অন্তত চারটি দেশে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা, দক্ষতা ও পেশাগত মানদণ্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রায় ২০টি দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকার নিয়মিত এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে চায় এবং অতিরিক্ত মেয়াদ বা এক্সটেনশনের চল রোধ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ