শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৩৬, ৭ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কাকররাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় পুলিশ। কিন্তু সেই আহ্বানে তারা সাড়া না দিলে বেলা সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ জলকামান ও কমপক্ষে ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশসহ আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হন। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজনকে আটকও করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীদের মৎস্যভবনের দিকে নিয়ে যায়।
এদিকে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করার আগে ডিএমপির রমানা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি যমুনায় পাঠানোর আহ্বান জানান। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের কাকরাইল মসজিদ থেকে সরে যেতে ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাতে সাড়া না দিয়ে একই জায়গায় আবস্থানের ঘোষণা দিলে পুলিশ বল প্রয়োগ শুরু করে।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় শাহবাগ মোড় থেকে যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে আসেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। মিছিলটি কাকরকাইল মসজিদ মোড়ে এলে সেখানে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে তারা সেখানে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা সাবেক বিডিআর সদস্যরা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের ঘটনার পর তারা বিনা বিচারে চাকরিচ্যুত হন এবং দীর্ঘদিন ধরে ন্যায়বিচার ও পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন। সরকার তাদের দাবি উপেক্ষা করায় তারা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল তৎপর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যমুনা ও কাকরাইল এলাকায়।
তাদের তিন দফা দাবি হলো- চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুর্নবহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল এবং বিডিআর নাম পুর্নবহাল ও কারাগারে বন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ