শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:২০, ২৮ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আজকের বৈঠক সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। তিনি জানান, বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে শফিকুল আলম বলেন, ‘ইতোমধ্যেই অনেক মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে এবং সামনের দিনগুলোতে এই প্রচারণা আরও বেড়ে যাবে। এসব মিসইনফরমেশন দ্রুত যাচাই ও প্রতিরোধে ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।’ তিনি জানান, এ বিষয়েও সভায় বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে নিরাপত্তা বাহিনীর পারস্পরিক সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে তিন মাসে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান প্রেস সচিব। তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা সভায় মন্তব্য করেছেন যে, পুলিশের অনেক ভালো কাজ দৃশ্যমান নয়; এগুলো সামনে আনার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।”
সেনাবাহিনীকে নির্বাচনকালে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এই নির্বাচনে ৬০ হাজার সেনাসদস্য নিয়োজিত থাকবেন।’
নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘৫ আগস্ট তারিখ ঘোষণার কোনো তথ্য এখনো নেই।’
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনিক রদবদল সংক্রান্ত বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে