ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মুহররম ১৪৪৭

এনসিপির গাড়িবহরে আ.লীগ-ছাত্রলীগের হামলায় রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬:৪৫, ১৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৮:০২, ১৬ জুলাই ২০২৫

এনসিপির গাড়িবহরে আ.লীগ-ছাত্রলীগের হামলায় রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ

ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে সকাল থেকে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গুলির শব্দে গোটা গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

হাতবোমা, কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কারনে আতঙ্কে শহরের অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষের চলাচলও সীমিত হয়ে পড়েছে।

এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধরা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।

সারা শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সবশেষ চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলানো হয়।

বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের করা হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে।

এসবের মধ্যে বুধবার বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় বলে এনসিপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশস্থলের চেয়ারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রাস্তায় এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে প্রচুর গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সমাবেশ এলাকায় আগুন দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। তারা চৌরঙ্গী মোড়ে রয়েছেন। সেখানে প্রচুর লোকজন। তাদের হাতে লাঠি দেখা গেছে।

তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করছেন। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে তাদের পিছু হটানোর চেষ্টা করে। শহরে থমথমে পরিস্থিতি দেখা গেছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন