ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মুহররম ১৪৪৭

বিচার ও সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দাবি আবু লায়েস মুন্নার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪:০২, ১২ জুলাই ২০২৫

বিচার ও সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দাবি আবু লায়েস মুন্নার

ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস

শনিবার (১২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শ্রমিক মুক্তিজোটের আয়োজনে ২৪শের গণঅভ্যুত্থান- এর প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা প্রসঙ্গে আলোচনা সভায় দেশে স্থিতিশীলতার প্রশ্নে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাফসহ গণহত্যার বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে দৃশ্যমান করার দাবি করেন মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের প্রাথমিক প্রাপ্তি ছিল দম বন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি। ১৯৭১, ১৯৯০ সালের পর বাংলাদেশের মানুষ আবার সবাই মিলে আনন্দ করার, উৎসব করার একটি দিন পায় ৫ আগস্ট (৩৬ জুলাই)। এক ফ্যাসিস্টের হাতে জিম্মি বাংলাদেশকে মুক্ত করা ছিল এই ৫ আগস্টের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

কিন্তু সরকার যেই কাজটা করতে সবচেয়ে দেরি করছে, তা হল যথাযথ শহীদদের তালিকা প্রস্তুত করতে, আহতদের তালিকা সঠিকভাবে এখন পর্যন্তও করতে না পারা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসাসহ ফ্যাসিস্টদের বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্ন বিদ্ধ করে ফেলা। এমনকি আইন শৃঙ্খলার এই ১১ মাসে কোন উন্নতি হয়নি, বরং দিন দিন আরো অবনতি হচ্ছে।
    
তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে এই সরকার গঠিত। মুলত ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার রক্তের উপর শপথ নেওয়া এই সরকারের তিনটি লক্ষ্য হওয়ার কথা তা হল- গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করে দ্রুত সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেওয়া, গণহত্যার বিচার করা ও জনসাধারণের রক্তদানে কেনা বিজয় যেন জনগণের হাতে থাকে। স্বার্থান্বেষী মহল যেন কোন ভাবেই একে নিয়ে আর খেলতে না পারে। যে রাষ্ট্র কাঠামো মানুষকে দানব করে তোলে সেই রাষ্ট্র কাঠামোর যথাযথ সংস্কার প্রক্রিয়াকে দৃশ্যমান করাই এই সরকারের মুল কাজ। 

তাই সরকারকে বুঝতে হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির প্রকৃত মিলন বিন্দু টা হচ্ছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এবং তার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্মোহভাবে একটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। না হলে তা হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া অগণিত শহীদের সাথে নির্মম প্রতারণা। 

এ ছাড়াও অন্যান্য বক্তাদের আলোচনায় প্রশ্ন উঠে আসে যে, ছাত্র-জনতার ২৪শের গণঅভ্যূত্থানও কি শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত হতে চলেছে। অথচ সালাম বরকত থেকে---নুর হোসেন তথা আজকের আবু সাঈদ-মুগ্ধরা মরে না তাঁরা মুক্তির প্রেরণা হয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে। রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়, বার বার স্বৈরশাসক মুক্ত হয় কিন্তু যুগে যুগে সমস্ত বৈষম্য আর দূর্নীতির শিকার কি জনগণই হবে। 

বাংলাদেশ শ্রমিক মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মোঃ রাশেদুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে শ্রমিক মুক্তিজোটের সদস্য সচিব এইচ এম ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল, কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য মোঃ মজিবুল হক, যুব মুক্তিজোটের আহ্বায়ক মোঃ আব্দুল আওয়াল, শ্রমিক মুক্তিজোটের উপদেষ্টা মোঃ ইমন বারিক ও মহানগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন