শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:১৫, ১৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৪:১৮, ১৬ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এই হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, হত্যার মূল আসামি রেজোয়ান উদ্দিন অভিকে মঙ্গলবার পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। এ হত্যায় জড়িত সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো-মামলা দায়েরের জন্য নিহত সোহাগের সাবেক স্ত্রী লাকী আক্তার থানায় আসেন, কিছুক্ষণ পর সোহাগের সৎ ভাই রনিও থানায় আসেন। তারা নিজের মধ্যে পরামর্শ করে ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার প্রস্তুত করেন। এরমধ্যে নিহতের আপন বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় এসে এজাহার দায়েরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় তার সামনে আগের খসড়া এজাহার উপস্থাপন করা হয়। এ সময় তিনি আগের খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে আরো একজনের নাম যুক্ত করে মোট ১৯ জনকে আসামি করে এজাহার দাখিল করেন।
তিনি বলেন, নিহতের বোনের এজাহার দাখিলের পর কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। ডিএমপি কমিশনার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ঘটনা চলাকালীন ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় অভিযুক্তরা একটা মবের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ এমন স্লোগান দিচ্ছিল। এ অবস্থায় চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত কোন্দল থেকেই এ হত্যাকাণ্ড। সোহাগ ও অভিযুক্তরা চোরাই অ্যালুমিনিয়াম তার বিক্রি করতেন ১৭ বছর ধরে। ৫ আগস্টের পর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই এ হত্যা। এতে নির্বাচন বানচাল বা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র নেই।
গত ৯ জুলাই পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে কুপিয়ে ও পাথরের আঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ