ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মুহররম ১৪৪৭

বিমানে বোমা থাকার ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩:৪৮, ১২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৫০, ১২ জুলাই ২০২৫

বিমানে বোমা থাকার ভুয়া খবরের নেপথ্যে পরকীয়া: র‍্যাব

ছবি: সংগৃহীত

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইটে বোমা থাকার ভুয়া খবরের নেপথ্যে ছিল পরকীয়া প্রেমের কাহিনী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তারা হলেন- ইমরান, তার বন্ধু ইমনের স্ত্রী তাহমিনা ও ইমনের মা রাশেদা বেগম। 

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান।

র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বোমা আছে- ফোন করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানানো হয়। যার ফলে ওই বিমানে যাত্রা স্থগিত করা হয়। তিন থেকে চার ঘণ্টার তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় জাতীয় এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তি দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে মারাত্মক ক্ষুন্ন হয়। এর আগেও এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল। 

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর পরই আমরা অনুসন্ধানে নামি। সারারাত অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সহযোগিতা করেছে। 

একেএম শহিদুর রহমান বলেন, এই ঘটনার তদন্তে জানা যায়, ইমন নামে এক ব্যক্তি পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে এই ফ্লাইটে নেপাল যাচ্ছিলেন। বিষয়টি ইমনের মা ও তার স্ত্রী জানতে পারেন এবং যাত্রা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চালান। কিন্তু তারা কোনোভাবে সক্ষম হননি। তখন ইমনেরই আরেক বন্ধু ইমরান তাদের পরামর্শ দেন, যদি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে জানানো হয় বিমানে বোমা আছে, তাহলে যাত্রাটা স্থগিত হয়ে যেতে পারে। সে অনুযায়ী, ইমনের মা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন করে বিমানে বোমা থাকার তথ্য জানান।

র‌্যাবের ডিজি বলেন, এই বিষয়ে আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই এটি একটি গর্হিত কাজ। এসব কাজে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে‌ এবং আমাদের জাতীয় এয়ারলাইন্সের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। কোনোভাবেই যেন এই ধরনের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে গ্রহণ করা না হয়। তারপরও গ্রহণ করলে কঠিন শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার বিকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৭৩ ফ্লাইটটি কাঠমান্ডুর উদ্দেশে উড্ডয়নের প্রস্তুতিকালে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। জানানো হয়, ফ্লাইটটিতে বোমা রয়েছে। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটি (ফ্লাইট নম্বর: বিজি ৩৭৩) তখন ১৪২ জন যাত্রী ও সাতজন ক্রু নিয়ে রানওয়ের ট্যাক্সিওয়েতে ছিল।

সঙ্গে সঙ্গে বিমানবাহিনীর টাস্ক ফোর্স ও এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) ঘিরে ফেলে বিমানটি। আসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও এপিবিএনের ডগ স্কোয়াড। পরে র‍্যাবের দলও তল্লাশিতে অংশ নেয়। প্রায় তিন ঘণ্টার নিবিড় তল্লাশির পর বিমান ও যাত্রীদের লাগেজ থেকে কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে তল্লাশি শেষ হয়।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

আরও পড়ুন