শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:৩৫, ১৬ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
এদিকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ সতর্ক করে বলেছে, অবরুদ্ধ উপত্যকায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ সম্ভব না হলে আগামী প্রজন্ম ভয়াবহ বিপদে পড়বে।
আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) উত্তর গাজার শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত এবং আরো কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। চিকিৎসা সূত্র আল জাজিরাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
এ ছাড়া দক্ষিণ গাজায় বিতর্কিত ইসরায়েলি-যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত রাফাহের উত্তরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে হামলা হয়। এতে কমপক্ষে দুই নারী নিহত এবং আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে ফাউন্ডেশনটি কাজ শুরু করার পর থেকে থেকে গাজায় ত্রাণ পেতে গিয়ে কমপক্ষে ৮৭৫ জন মারা গেছেন।
এর আগে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স বলেছিল, তাদের উদ্ধারকারী দলগুলো মঙ্গলবার ভোরের পর থেকে কমপক্ষে ১৮ জন শহীদ এবং কয়েক ডজন আহতকে পরিবহন করেছে। যার বেশিরভাগই উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির তথ্যানুসারে, গাজা শহরের একটি তাঁবুতেও ইসরায়েলি হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরো হামলায় বিভিন্ন স্থানে নিহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে নতুন করে বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা উত্তর গাজার ১৬টি এলাকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির আদেশ জারি করেছে।
হুমকি পাওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে জাবালিয়া অন্যতম। এটি বর্তমানে বিধ্বস্ত এক শহর। তবু তাঁবুতে বাসিন্দারা বাস করছিলেন। নতুন আদেশ পাওয়ার পর বাস্তুচ্যুতরা ভয় ও আতঙ্কে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছে।
আল জাজিরার সংবাদদাতা মোয়াথ আল-কাহলৌত বলেন, মানুষ তাদের গাড়ি ও গাধা ব্যবহার করে এলাকাটি থেকে সরে যাচ্ছে। সবাই অজানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা জানে না কোথায় যাবে।
তিনি আরো বলেন, এখান থেকে এবং অন্যান্য এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য জ্বালানি না থাকায় তারা পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়ছে। তাই পরিস্থিতি খুবই বিশৃঙ্খল। এখানে বসবাসকারী সবাই আতঙ্কিত।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ