শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:২২, ১২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৪৯, ১২ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বোয়িংয়ের ওই ড্রিমলাইনার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিমানটির পাইলট-ক্রুসহ ২৪১ আরোহী নিহত হন। আর যে ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় তা স্থানীয় বিজে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের একটি হোস্টেল। ওই সময় হোস্টেলের ক্যান্টিনে অনেকে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। সবমিলিয়ে ওই দুর্ঘটনায় অন্তত ২৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর এটি নিয়ে তদন্ত করছিল এয়ারক্রাফট অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে এ প্রতিবেদনে জমা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, দুটি ইঞ্জিনের ফুয়েল কাট অফ সুইচ এক সেকেন্ডের ব্যবধানে একের পর এক ‘রান’ (চালু) অবস্থান থেকে ‘কাট অফ’ (বন্ধ) অবস্থানে চলে যায়। দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে- অর্থাৎ বিমানটি মাটি ছেড়ে আকাশে ওঠার ঠিক তিন সেকেন্ড পরই এ ঘটনা ঘটে। তবে সুইচগুলো ভুলবশত সরে গিয়েছিল নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে সরানো হয়েছিল, তা প্রতিবেদনে উঠে আসেনি।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইচগুলো সরে যাওয়ার সময়কার ককপিট ভয়েস রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, একজন পাইলট অপরজনকে জিজ্ঞাসা করছেন, তিনি কেন ইঞ্জিনগুলোর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিলেন। উত্তরে অপর পাইলট জানান, তিনি এমন কিছু করেননি। প্রশ্নটি ফার্স্ট অফিসার নাকি পাইলট ইন কমান্ড করেছিলেন, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে ককপিট ভয়েস রেকর্ডিংয়ের কোনো প্রতিলিপি (ট্রান্সক্রিপ্ট) দেওয়া হয়নি। এটি দুই পাইলটের মধ্যকার কথোপকথন সম্পর্কে আরো স্পষ্ট ধারণা দিতে পারত।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো বলছে, তদন্তের এ পর্যায়ে বোয়িং ৭৮৭-৮ বা জিই জিইএনএক্স-১বি–এর ইঞ্জিন পরিচালনাকারী কিংবা প্রস্তুতকারকদের জন্য কোনো পদক্ষেপের কথা সুপারিশ করা হয়নি।
এ বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়া, বোয়িং এবং জিই অ্যাভিয়েশন কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত হয় বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো। এ সংস্থাই এখন এয়ার ইন্ডিয়ার ওই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে