ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মুহররম ১৪৪৭

পুতিন শান্তির কথা বলে বোমা মারেন: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৪৮, ১৪ জুলাই ২০২৫

পুতিন শান্তির কথা বলে বোমা মারেন: ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার (১৩ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য এগুলো প্রয়োজন। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুখে ভালো ভালো কথা বললেও সন্ধ্যায় বোমা মারেন।

ইউক্রেনে কয়টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাতে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেননি।। তবে তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের খরচ পরিশোধ করবে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টা রুশ নেতা পুতিনের সমর্থন পায়নি। তাই পুতিনের ওপর ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প।

রাশিয়ার প্রতিদিনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আরো প্রতিরক্ষাসরঞ্জাম চেয়েছেন।

জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমরা তাদের (ইউক্রেন) প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দেব, যেটি তাদের খুবই প্রয়োজন। কারণ, পুতিন অনেককেই হতবাক করেছেন।

ইউক্রেনে অত্যন্ত উন্নত বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্র পাঠাবে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে সেগুলোর পুরো অর্থ পরিশোধ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘিরে কূটনৈতিক তৎপরতাও বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত ইউক্রেনে সফর করছেন এবং ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎও হওয়ার কথা রয়েছে। তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়ার আগ্রাসনে এবারের গ্রীষ্মে হামলার মাত্রা বেড়েছে। যদিও নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দায়িত্ব গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করবেন তিনি।

অন্যদিকে রবিবার মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই দলের সিনেটররা একটি বিল উত্থাপন করেন। এ বিলে ট্রাম্পকে রাশিয়া ও তাদের মিত্র দেশগুলোর ওপর কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, এই বিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে রুশ অর্থনীতি ও তাদের সহযোগী দেশগুলোর ওপর ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের সুযোগ দেবে।

এই প্রস্তাবের প্রশংসা করে জেলেনস্কি এক্সে দেওয়া পোস্টে লেখেন, এটিই সেই চাপ, যা শান্তির পথ তৈরি করতে পারে। কূটনীতিকে অর্থবহ করতেও এটি কার্যকর হবে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন