ব্রেকিং
মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:৪১, ২০ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
মানববন্ধনে লামিয়া হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, কাশিমপুর মেহের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম খান, ৫ নম্বর পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ সেন্টু মিয়া, মানবিক সেবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল মাসুমসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এটি নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি আমাদের সমাজব্যবস্থা, নৈতিকতা ও নারীর নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত। আমাদের কন্যাশিশুরা আজ নিরাপদ নয়, লামিয়ার মতো নিষ্পাপ শিক্ষার্থী এভাবে খুন হওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
তারা আরো বলেন, প্রশাসন যদি চিহ্নিত খুনিদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনে, তাহলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে না।
এ সময় তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া কাশিমপুর গ্রামের মিজানুর রহমান মোল্লার মেয়ে মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া বুধবার (১৬ জুলাই) বিকালে একটি ফোন পেয়ে কারো কাছে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। রাতে অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে পাট কাঁটা শ্রমিকরা বাড়ির পার্শ্ববর্তী আবদুল হক মাতুব্বরের পুকুর পাড়ে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখে পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত লামিয়ার মা রেবেকা ও দাদা সানু মোল্লা জানায়, লামিয়ার গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাশ পুকুর পাড়ে ভাসমান অবস্থায় দেখে আমাদের খবর দেয় পাট কাটা শ্রমিকরা।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে