শিরোনাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:১৬, ২২ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
ভুক্তভোগী ওই কৃষক শৈলকুপা পৌরসভার ঝাউদিয়া গ্রামের মফিজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। প্রতিবছর ৬০ হাজার টাকায় বাৎসরিক জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করে সংসার চালাতেন । প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাগানটি গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে বেশিরভাগ গাছেই ধরন্ত পেঁপে রয়েছে। কৃষক হাফিজ সোমবার সকালে জমিতে এসে দেখতে পান পেঁপে গাছ মারা যাচ্ছে। তিনি জানান, পরিপাটি যত্নে লালিত বাগান থেকে তিনি এ বছর ২০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন, এখন সে স্বপ্ন অধরা হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেল পরিবারের আশা ভরসা, ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে পথে নামতে বাকি বলে কৃষক হাফিজ আর্তনাদ করেছেন।
ঝাউদিয়া গ্রামের চাষী তারিক হোসেন জানান, হাফিজ উদ্দিন অনেক টাকা এনজিও ঋণগ্রস্থ এবং লিজ নেওয়া জমিতে অন্তত ৫ লাখ টাকা খরচ করেছেন। তার এমন ক্ষতিতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেল।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন গ্লাইফোসেট নামক তরল বিষে এ ধরনের ক্ষতি হয়। অন্তত তিন চার দিন আগে ঝাউদিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হাফিজ বিশ্বাসের বাগানে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করতে পারে। কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে ১৫শ গাছে অন্তত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা আয়ের সম্ভাবনা ছিল। ক্ষতিগ্রস্থ হাফিজকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, একজন সাধারণ কৃষকের সঙ্গে এমন শত্রুতা করা খুবই অন্যায়। ভুক্তভোগী ওই কৃষক থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনা জানাজানির পর থেকে ওই এলাকার কৃষকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কৃষকেরা জানিয়েছেন, রাতের আঁধারে এ ধরনের অপকর্ম চাষীদের জন্য অশনী সংকেত, এখন মাঠজোড়া বিভিন্ন ফসল রয়েছে, হাফিজের বাগানে দুর্বৃত্তহানা’ খবরটি অনেক বেদনাদায়ক এবং এলাকার কৃষকদের জন্য আতঙ্কজনক।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে