শিরোনাম
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২:০৭, ২৯ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে স্কুলে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে গিয়ে দেখে প্রধান গেটে তালা ঝুলছে। পরে অভিভাবকরা এসে স্কুল বন্ধ দেখে স্কুলের সামনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় অভিভাবকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শওকত আলীকে ঘটনা জানতে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।
অভিভাবকরা জানান, স্কুলে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বছরের মধ্য সময় এসে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্যে পড়েছে এই শিক্ষার্থীরা। আজ শুনছি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন আমরা বাচ্চাদের কি করবো, কোথায় ভর্তি করবো। কেন হঠাৎ প্রধান শিক্ষক স্কুল বন্ধ করলো, আমরা এর সুবিচার চাই। অভিভাবকরা বিষয়টি বেনাপোল পৌরসভার প্রশাসক ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শওকত আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই স্কুল চালিয়ে অনেক টাকা দেনা হয়ে গেছি এ কারনে স্কুলটি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই বন্ধ করে দিয়েছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে পাঠদানের অনুমতি পেতে হলে অনেক গুলো গুরুত্বপুর্ন পথ অতিক্রম করতে হয়। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত ও ভৌগলিক রূপ দান করা। জমি থাকতে হবে দশমিক ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ, শ্রেণিকক্ষ ৫টি, অফিস কক্ষ ২টি, লাইব্রেরি, টয়লেট, কমনরুম, খেলার মাঠ থাকতে হবে। লাইব্রেরিতে বই থাকতে হবে। কম্পিউটার থাকতে হবে । সাধারণ ও সংরক্ষিত তহবিল মিলিয়ে লাখ টাকা থাকতে হবে। শিক্ষার্থী থাকতে হবে শহরে ১২০ থেকে ২০০ জন। আর মফস্বলে ৯০ থেকে ১৫০ জন। তাহলে আল ফালাহ ইসলামীক স্কলারস স্কুলের পাঠদানের অনুমতি কে দিলো? তাদের লাইসেন্স বা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কোন তদারকি বা অনুমতি ছাড়াই কিভাবে এই ভুঁইফোড় স্কুল চালু করলো।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনুমোদনহীন ভুঁইফোড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে রেজিস্ট্রেশন করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা হয় না শিক্ষার্থীদের। এতে প্রতারিত হন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। প্রতি বছর এ ধরনের ভুল, প্রতারণা কিংবা উদাসীনতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন হুমকিতে পড়লেও কঠোর কোনো শাস্তির নজির নেই।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, বেনাপোলে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে শুনেছি। আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বলেছি। আগামিকাল স্কুলে যাবেন তিনি। তা ছাড়া এই স্কুলে পড়ূয়া শিক্ষার্থীদেরকে অন্য কোন স্কুলে শিফট করা যায় কি তার ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে