শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:২০, ২২ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৩, ২২ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
নিহত দুইজন হলেন, হাফেজীবাগ এলাকার বাসিন্দা কুদ্দুস মিয়া ও মেহেদী।
স্থানীয়রা জানান, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড দখল নিয়ে কয়েক দিন ধরে সাবেক কাউন্সিলর ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের সমর্থক বাবু-মেহেদী এবং সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার সমর্থক রনি-জাফরের পক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ চলে আসছিল। রাতে শাহী মসজিদ এলাকায় মেহেদীর নেতৃত্বে একটি দল জাফরের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপযার্য়ে মেহেদীর লোকজন কুদ্দুসকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর রাত সাড়ে ১১টায় বন্দর সিরাজুদ্দৌলার ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার পথে তাদেরকে দেখে রনি ও জাফর গ্রুপের লোকজন ধাওয়া দেয়। এ সময় মেহেদীকে ধরে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার বলেন, আমি জড়িত নই। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে বদনাম করার চেষ্টা করছে। আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাওসার আশা বলেন, বাবু, মেহেদী, রনি ও জাফর সবাই এক সময় একসঙ্গে চলাফেরা করত। কিন্তু সম্প্রতি অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস ও মেহেদী নামে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ