শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:০৮, ২২ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৫:২৪, ২২ জুন ২০২৫
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাজিদের বিরুদ্ধে দেশটির স্পর্শকাতর নিরাপত্তাগত তথ্য মোসাদের কাছে পাচার করার অভিযোগ আনা হয়। পুরো বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা বহাল রাখে এবং আজ সকালে তা কার্যকর করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মাজিদের তথ্য পাচারের কারণে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছিল বলে অভিযোগ তোলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।
এদিকে, একদিন আগেই ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ঘিরে নতুন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, এসব হামলার পর আশপাশের এলাকায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বৃদ্ধির কোনো প্রমাণ মেলেনি।
রোববার ভিয়েনা থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আইএইএ জানায়, “ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—এই তিনটি স্থাপনায় হামলার পরে আমাদের পর্যবেক্ষক দল সেখানে তেজস্ক্রিয়তা বৃদ্ধির কোনো লক্ষণ পায়নি। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করছি এবং পরবর্তী বিশ্লেষণ খুব শিগগির জানানো হবে।”
এর আগে শনিবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এসব হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমকে লক্ষ্য করেই এই আঘাত হানা হয়েছে।
তেহরানও মার্কিন হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে। ইরানের পারমাণবিক সংস্থা অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন অব ইরান এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি-এর সরাসরি লঙ্ঘন।
তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, যেসব স্থাপনায় হামলা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেগুলোতে এমন কোনো তেজস্ক্রিয় উপাদান নেই, যার কারণে বড় ধরনের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, গুপ্তচরবৃত্তি মামলার সাজা কার্যকর এবং পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে বিবৃতি—দুই ঘটনাই ইরান-ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ত্রিমুখী উত্তেজনার নতুন মাত্রা তুলে ধরছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ