ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

নিম্নমানের পিচ, কাজ বন্ধ করালেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪:৩৪, ২৪ জুন ২০২৫

নিম্নমানের পিচ, কাজ বন্ধ করালেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ

কুমিল্লার দেবীদ্বারে সদ্য কার্পেটিং করা একটি সড়কে আঙুল দিয়েই পিচ তুলে হতবাক হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি নিজেই কার্পেটিংয়ের গুণগত মান পরীক্ষা করেন এবং কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।

সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে উপজেলার সুবিল-ফতেহাবাদ-রসুলপুর সড়কে ঘটনাটি ঘটে। এ সড়কটি প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু প্রতীক্ষার পর সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হলেও কাজের মান নিয়ে রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন।

পরিদর্শনের সময় আঙুল দিয়ে পিচের স্তর তুলে দেখিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসনাত বলেন, “এটা কি রাস্তা, নাকি প্রতারণা? জনগণের সঙ্গে উন্নয়নের নামে এমন অনিয়ম বরদাশত করা হবে না।” তিনি সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোন করে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এলজিইডির দেবীদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, রসুলপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর থেকে সুবিল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় বাজার পর্যন্ত ২ হাজার মিটার দীর্ঘ এই সড়কের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালে। করোনাকালে কাজ বন্ধ থাকলেও চলতি বছরের মে মাসে কার্পেটিং কাজ শুরু হয়। প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মেসার্স আরতার অ্যান্ড ইয়েষ্টেড ইন্টারন্যাশনাল কোং লিমিটেড।

সুবিল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তাহের সরকার পুনরায় কাজ শুরু করেন। কিন্তু কার্পেটিং শুরু হওয়ার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ‘বছরের পর বছর ভোগান্তির পর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গুণগত মান নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। হাসনাত আব্দুল্লাহ সরেজমিনে এসে যেভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন, তাতে আমরা আশাবাদী।’ হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘চোখের সামনে সাধারণ মানুষকে কষ্ট পেতে দেখেছি। অনিয়ম করে জনগণের টাকায় উন্নয়ন নয়, প্রকৃত উন্নয়ন চাই।’

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে কাজ সম্পন্ন না হলে প্রকল্পটি পরবর্তী বাজেটে ফের বরাদ্দ নিতে হবে। তবে স্থানীয়দের প্রত্যাশা, এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরও সচেতন হবে এবং প্রকল্পের মান নিশ্চিত করে কাজ শেষ করবে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন