শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৩৯, ২৪ জুন ২০২৫
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, একদিনে বরিশাল বিভাগে ১৫৭ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে এই সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪ জন, আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫৪৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল নয়, চট্টগ্রাম বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরেও ৫৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার বাইরে ৩৫ জন, খুলনায় ৮ জন এবং রাজশাহীতে ৪৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মোট ৯২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৫০ জন এবং উত্তরে ৪২ জন।
বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩১০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৭০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ধাপে ধাপে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
-জানুয়ারিতে ভর্তি হন ১,১৬১ জন,
-ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন,
-মার্চে ৩৩৬ জন,
-এপ্রিল মাসে ৭০১ জন,
-মে মাসে ১,৭৭৩ জন,
-আর জুন মাসে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪,১৯৯ জন।
মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি ছিল জানুয়ারি ও জুন মাসে—প্রত্যেক মাসেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের বেশি রোগীর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া ও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বিবেচনায় নিয়ে এখনই প্রতিটি স্থানীয় সরকারকে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা মূলত জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে। তাই বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, ফুলের টব, ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনের পানি জমতে না দেওয়ার উপর জোর দিতে হবে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে আলাদা ডেঙ্গু ইউনিট খোলা হয়েছে এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহও অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ