ঢাকা, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯:০৫, ২৪ জুন ২০২৫

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত

দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পর নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফেরত পেল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন আহমেদের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ৪ জুন ইসি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন এবং তাদের পুরনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফেরত দেওয়ার। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ওইদিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিল পুরনো প্রতীকসহ নিবন্ধন পুনর্বহালের জন্য। বিষয়টি আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করেছি। ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিলের সময় যেটি ছিল সেই ‘স্ট্যাটাসকো এনটে’ ধারণা অনুযায়ী পুরনো প্রতীকসহ নিবন্ধন ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, জামায়াতের ২০০৮ সালের নিবন্ধন প্রজ্ঞাপনে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকও সংযুক্ত ছিল। ২০১৬ সালে আদালতের একটি ফুল কোর্ট সভার আলোকে প্রশাসনিকভাবে প্রতীকটি বাতিল করা হয়। তবে পরে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি রিট পিটিশন দাখিল হলে আদালত আপিল খারিজ করে দেন এবং বলেন— “দাঁড়িপাল্লা প্রতীক হিসেবে ব্যবহারে আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় না।”

এই প্রেক্ষাপটে কমিশন মনে করে, দলটি তাদের পুরনো প্রতীক ব্যবহারে আইনত বাধাগ্রস্ত নয়। সব বিবেচনায় জামায়াতকে নিবন্ধন এবং দলীয় প্রতীক ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।

কমিশনার সানাউল্লাহ আরও জানান, “সারাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীকের সংখ্যা বর্তমানে ৬৯টি। সেটি বাড়িয়ে ১০০টি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকটি নতুন করে তালিকায় যুক্ত হবে।”

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে দলটি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। তবে এবার পুনরায় নিবন্ধন পাওয়ায় দলটি ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে— এমনটাই ধরে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন