শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:৫২, ২৪ জুন ২০২৫
জবাবে ট্রাম্প সোজাসাপ্টা বলেন, ‘না। যদি কিছু ঘটে, তো ঘটে। তবে না, আমি সেটা চাই না। আমি চাই সবকিছু যত দ্রুত সম্ভব শান্ত হয়ে যাক।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতার পালাবদল মানেই বিশৃঙ্খলা। আর আদর্শ পরিস্থিতিতে আমরা অত বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।’
ট্রাম্পের এই মন্তব্যে ইঙ্গিত মিলেছে যে, তাঁর প্রশাসন ইরানে ‘রেজিম চেঞ্জ’ বা সরাসরি শাসনব্যবস্থার পতন চায় না। বরং ওয়াশিংটনের লক্ষ্য হচ্ছে—তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা হ্রাস করা।
তবে গত সপ্তাহে এক আলোচনায় ট্রাম্পের ‘যদি বর্তমান সরকার ইরানকে আবার মহান করতে না পারে, তাহলে শাসন বদলাবে না কেন?’—এই বক্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অনেকেই তা ইরানে সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।
আজকের বক্তব্যে ট্রাম্প সেই ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্যে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ নয়, বরং কূটনৈতিক ও কৌশলগত উপায়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চায়।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানকে নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান কিছুটা দ্ব্যর্থক হলেও সাম্প্রতিক মন্তব্যে তার কৌশলগত সংযমের বার্তা স্পষ্ট হয়েছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ