হামলা করেনি ইরান, তবু অভিযোগ করে আবারও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে—এমন অভিযোগ তুলে তেহরানের কেন্দ্রস্থলে জোরালো হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ইসরায়েলের দাবি, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আল জাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েল-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, সোমবার রাত ৩টার দিকে ইরান দুটি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যেগুলো ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে প্রতিহত করে। এরপরই নেতানিয়া শহরের আকাশে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে এবং জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়।

তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি ও বার্তা সংস্থা ইসনার বরাতে আল জাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইরানের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।

এর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, ‘তেহরান কাঁপবে।’

বিরোধপূর্ণ যুদ্ধবিরতির পটভূমি

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এই যুদ্ধবিরতি কতটুকু কার্যকর এবং কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে, তা নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ ছিল।

এদিকে যুদ্ধবিরতির পরপরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেন, ‘ইরান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে এবং এর জবাবে আমরা তেহরানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সরকারি স্থাপনাগুলোতে জোরালো ও নির্ভুল হামলার নির্দেশ দিয়েছি।’

বিশ্লেষকদের মতে, এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হামলার ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে নতুন এক ভয়াবহ মোড় দিতে পারে।