শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:০০, ২৪ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কূটনীতিকের বরাতে সিএনএন জানায়, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আনতে অনুরোধ করেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন জসিম আল-থানি সোমবার ইরানের প্রতি চুক্তিতে সম্মতি আদায় করেন। পাশাপাশি, হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে একটি স্পষ্ট শর্তে; ইরান তাদের দেশ বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হামলা বন্ধ রাখবে– আর ইরান এই শর্তে সম্মতি দিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, ফোনকলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিয়োগ ছিল গুরুত্বপূর্ণ। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বর্ণনা করেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে রবিবার ট্রাম্প সরাসরি আলোচনা করেন; আর এপিসোড শেষে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
একই যোগাযোগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের ভূমিকা ছিল। এসব আলোচনার পাশাপাশি, ভ্যান্স ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত লজিস্টিক ব্যবস্থা নির্ধারণে যুক্ত ছিলেন।
টেলিভিশন ও সিএনএন–র খবরে বলা হয়, ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি দু-ধাপে কার্যকর হচ্ছে। প্রথমে ২৪ ঘণ্টার জন্য ইরান একতরফাভাবে সব হুমকি ও হামলা বন্ধ করবে। ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও একইভাবে নিরস্ত্র থাকবে।
ইসরায়েল সরকারও একই সঙ্গে প্রকাশ্যে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানায়। সরকার সংশ্লিষ্টরা জানান, অপারেশন রাইজিং লায়নের সকল লক্ষ্যই অর্জন করা হয়েছে। সামরিক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তেহরানের কেন্দ্রস্থ সরকারি লক্ষ্যবস্তুতে সফল হামলা চালিয়ে ‘শত শত আধা-সামরিক বাহিনী’ ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক হুমকি দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়।
যুদ্ধবিরতির পর বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে আইনি ও নৈতিক বিতর্ক। বিশেষ করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের পথে ছিল কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ইরানের কাছ থেকে বড় হুমকি দেখেছে— ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের মাধ্যমে। যদিও তাদের অনিশ্চিত তথ্য সর্বজনীন হয়নি, তবে দেশটির সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী ‘মূল্যবান অস্ত্রাগারের বিরুদ্ধে কার্যকর হামলা’ চালানো হয়েছিল।
এই হামলার সময় মধ্যপন্থী কিছু মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বলেছিল, ইরানের শীর্ষ নেতৃত্ব হয়তো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির নির্দেশ দেননি— এমন মূল্যায়ন দেওয়া হয়েছিল। তবে ট্রাম্প সেই পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেছেন, ইরানের অবস্থান ওই পর্যায়েও ছিলো সীমান্তজুড়ে; তারা ‘পারমাণবিক বোমা তৈরি প্রক্রিয়ার শীর্ষে’ পৌঁছে যাবে ‘অত্যন্ত দ্রুত’— এমনই তার বিশ্বাস।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করে নেন, ইরানে আক্রমণের সময় তিনি জানতেন। এই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত তিনি কয়েক মাস আগেই নিয়ে ফেলেছিলেন, বলেছিলেন তিনি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ