শিরোনাম
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ: ১৬:০৯, ২৪ জুন ২০২৫
বিচারক জামিন শুনানিতে বাদী প্রিয়ার কাছে জানতে চান, জামিনে কোনো আপত্তি আছে কি না। তিনি সোজাসাপ্টা উত্তর দেন—“না।” উভয়পক্ষের আইনজীবীরাও জানান, ঘটনাটি ছিল ‘ভুল বোঝাবুঝি’; এখন তা মীমাংসিত।
এদিন দুপুরে নোবেল আদালতে হাজির হন খোশমেজাজে, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে। কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রী ইসরাত জাহান প্রিয়াও আদালতে পৌঁছান। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে স্বামীর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বলভাবে কথা বলেন। শুনানির পরে আদালত প্রিয়ার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিলে দেখা যায়, দম্পতি একে অপরের খোঁজখবর নিচ্ছেন, হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকছেন। আদালতের গারদে নেওয়ার সময়ও নোবেল প্রিয়ার হাত ধরে এগিয়ে যান, এমনকি লিফটে ওঠার সময়ও স্ত্রীকে সঙ্গে নেন।
গত ১৯ জুন, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নোবেল ও প্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে। এই বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয় ১০ লাখ টাকা। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
এই বিয়ে ও আদালতের মাধ্যমে অনুমোদন পাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা। কেউ বলছেন, এটি “অভিনব এক বিচারিক সমাপ্তি”, কেউ আবার এটিকে “ধূসর আইনি ন্যায়বিচারের চিত্র” বলেও উল্লেখ করছেন।
জামিনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নোবেলের আইনজীবীরা জানান, নোবেল ও প্রিয়া দম্পতির সংসারে “খুব শিগগিরই নতুন অতিথি আসতে চলেছে।” তবে নোবেল কিংবা প্রিয়া এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। প্রিয়া এখন পর্যন্ত নিজের গর্ভাবস্থার বিষয়েও মুখ খোলেননি।
জনসম্মুখে এলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি নোবেল। কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া বা বিবৃতি দেননি। অতীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে ঘিরে বিতর্কিত মন্তব্যে সরব থাকা নোবেল বর্তমানে নীরব।
নোবেলের বিরুদ্ধে ইসরাত জাহান প্রিয়া নামে এক নারী সম্প্রতি ডেমরা থানায় ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার তদন্ত চলাকালেই দুইজনের মধ্যে ‘আপোষ ও বিয়ের সিদ্ধান্ত’ হয়। এরপর আদালতের নির্দেশনায় কারাগারে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ