ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

হাশমীর চুমু আরামদায়ক নয়, জানালেন তনুশ্রী

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১:৩৯, ২৪ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪০, ২৪ জুন ২০২৫

হাশমীর চুমু আরামদায়ক নয়, জানালেন তনুশ্রী

ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমীকে বলা হয় ‘কিসারবয়’। তার অভিনীত এমন কোনো সিনেমা নেই, যেখানে চুমুর দৃশ্য ছিল না। কথিত আছে, নির্মাতারা যদি সিনেমার কোনো দৃশ্যে গভীর চুমুর বিষয় থাকত, তাহলে সে সিনেমার জন্য হাশমীকেই ভাবতেন। বিষয়টিতে তাকে অভিজ্ঞ বলে মনে করতেন সবাই। কিন্তু বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত বলেছেন উল্টো কথা। 

ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রী দত্ত বলেন, ‘ইমরান হাশমি মোটেও আরামদায়ক কিসার নন’। তনুশ্রী তাদের রসায়নবিহীন অদ্ভুত দৃশ্যের কথা স্মরণ করে এ মন্তব্য করেছেন। সেই পুরোনো সাক্ষাৎকারটিই সম্প্রতি সামনে এসেছে। হাশমীকে নিয়ে করা মন্তব্যটি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমায় অভিনয় করেন ইমরান হাশমী ও তনুশ্রী দত্ত। এ সিনেমার টাইটেল ট্র্যাকটি সেই সময়ের সবচেয়ে সাহসী গানগুলোর মধ্যে একটি ছিল। হাশমির সঙ্গে অভিনেত্রীর রসায়নও দর্শকরা বেশ রসিয়ে উপভোগ করেছেন। কিন্তু ভক্তরা এ জুটির রসায়ন নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও, অভিনেত্রী অভিনেতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে ততটা মুগ্ধ হননি। 

তনুশ্রী দত্ত সেই সাহসী দৃশ্যগুলো নিয়ে সূক্ষ্মভাবে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছেন, তাদের মধ্যে দৃঢ় রসায়নের অভাব ছিল। তিনি বলেন, আমার কাছে, প্রথম দিন থেকেই ইমরান সবসময়ই একজন অভিনেতা। আমি তার সঙ্গে তিনটি সিনেমা করেছি। আমরা ‘চকলেট’ সিনেমায়ও একটি চুম্বনের দৃশ্যের জন্য শুটিং করেছি, কিন্তু তারা তা ধরে রাখতে পারেনি। প্রথমবার এটি খুব বিশ্রী ছিল। ইমরান মোটেও আরামদায়ক কিসার নন।

তনুশ্রী দত্ত বলেন, আমি এবং ইমরান হাশমী উভয়ই একে অপরের সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করার সময় খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিনি। অভিনেত্রী বলেন, দ্বিতীয়বার, আরো বিশ্রী ছিল বিষয়টি। কারণ ব্যক্তিগতভাবে, বাস্তব জীবনে, আমাদের একে অপরের সঙ্গে কোনো রসায়ন নেই। তার একটি ‘কিসারবয়’ ইমেজ আছে, কিন্তু সে সবচেয়ে আরামদায়ক চুম্বনকারী নয় এবং আমিও নই।

উল্লেখ্য, তনুশ্রী দত্ত এবং ইমরান হাশমী ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছাড়াও ‘চকলেট’ এবং ‘গুড বয় ব্যাড বয়’ সিনেমায়ও জুটি বেঁধেছিলেন। অভিনেত্রীকে ২০১৮ সালে ‘মি-টু’ আন্দোলনকে সামনে নিয়ে আসার কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাকে। ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ সিনেমার সেটে নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করার পর থেকেই এটি শুরু হয়েছিল। এর পরে, বিনোদন জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের আরো অনেক নারী তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ে বেরিয়ে আসেন।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

আরও পড়ুন