শিরোনাম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:৪২, ২৪ জুন ২০২৫
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন কালীগঞ্জের কাদিরকোল আদর্শ দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার। তিনি সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কয়ারগাছি গ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, বিল্লাল হোসেন বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।
লিখিত অভিযোগপত্রে ছাত্রীর বাবা বলেন, “গত এক বছর ধরে সহকারী সুপার বিল্লাল হোসেন আমার মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। বিষয়টি বর্তমানে অত্যন্ত আপত্তিকর ও সামাজিকভাবে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চরমভাবে শঙ্কিত। পাশাপাশি এই ঘটনার কারণে আমি ও আমার পরিবার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, “মাদরাসা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানি না।” এরপর তিনি ফোন সংযোগ কেটে দেন।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর পিতার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ২৬ জুন মাদরাসা খোলার পর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. দেদারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেছি, তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ