ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ব্যাপক হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩:০৫, ২৩ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২৩:০৮, ২৩ জুন ২০২৫

কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ব্যাপক হামলা

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি আরও একধাপ এগোল। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তারা কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আল-উদেইদে অভিযান শুরু করেছে। এ তথ্য সিএনএন নিশ্চিত করেছে। এক্সিওস নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে বিবিসি অ্যারাবিক জানিয়েছে, কাতারের মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।

এর কিছুক্ষণ পরই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও এএফপি জানায়, কাতারের রাজধানী দোহার আকাশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোহার আকাশে এখন ফ্লেয়ার বা জ্বলন্ত গোলা ছোড়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি—এটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়েছে, নাকি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঘটেছে। বিস্ফোরণের শব্দে রাজধানীর বিভিন্ন অংশ কেঁপে উঠেছে।

এর আগে কাতার সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ঘন্টা দুয়েক আগেই জানিয়েছিল সতর্কবার্তা।দোহা বলছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করা ছাড়াও কাতারের বেশ কিছু স্কুল আগামীকাল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে তারা প্রতিশোধ নিতে পারে। কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি রয়েছে।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক ইমেইল বার্তায় ‘সতর্কতার অংশ হিসেবে’ দেশটিতে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তবে এই সতর্কতার পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি মার্কিন দূতাবাস। যুক্তরাজ্যের দূতাবাসও দেশটিতে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি ও সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। কাতারে আল উদেইদ নামের বিমানঘাঁটিতে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ

আরও পড়ুন