শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:২১, ২৩ জুন ২০২৫ | আপডেট: ২১:৫২, ২৩ জুন ২০২৫
ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল-১২ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচালিত এ অভিযানের মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি দ্রুত নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে ইসরায়েলের আশাবাদ।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের আরব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানকে জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েল শিগগিরই এ অভিযান শেষ করতে চায়। তবে ইরান এখনো হামলার জবাব দেওয়া বাদ দিলে যুদ্ধ বন্ধে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে।
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা রোববার টাইমস অফ ইসরায়েল-কে বলেছেন, “ইরান যদি পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করতে রাজি হয়, তাহলে আমরা এখনই আমাদের বোমা হামলা বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত। তবে এটি ইরানের ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাইলে যুদ্ধ খুব দ্রুত শেষ করতে পারি।”
চ্যানেল-১২ জানায়, এই অভিযান শেষ করার দুটি পথ খোলা রয়েছে— ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন ঘোষণা করতে পারে, অথবা যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিতে পারে, যদিও ইসরায়েল দ্বিতীয়টিকে কম গ্রহণযোগ্য মনে করছে।
অন্যদিকে, ইরান যদি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না করে, তাহলে ইসরায়েল আরও তীব্র হামলা চালাবে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা জানায়, সোমবার তেহরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল এই বার্তা দিয়েছে যে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে এই ধরনের আঘাত আরও বৃদ্ধি পাবে।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল্লা বলেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিই এখন যুদ্ধ বন্ধে প্রধান অন্তরায়।ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলা ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে বাধ্য করবে এবং তারা বিশ্বাস করেন, শেষ পর্যন্ত ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে সম্মত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার বলেছেন, ‘আমরা ইরানের বিরুদ্ধে আমাদের লক্ষ্য অর্জনের প্রান্তে পৌঁছেছি। ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক স্থাপনাগুলোতে গুরুতর ক্ষতি করা সম্ভব হয়েছে। আমরা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে যেতে চাই না, কিন্তু সর্বোচ্চ লক্ষ্য না পূরণ হওয়া পর্যন্ত অভিযান বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ এমআরএইচ