শিরোনাম
কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪:০৩, ১১ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ফলাফলের পেছনে দায়িত্বহীনতা ও নেতৃত্ব সংকটকেই দায়ী করছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল্লাহ মজুমদার স্বপন উপজেলায় প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হলেও নিজের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদাসীন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক শিক্ষার চেয়ে বেশি মনোযোগ দেন ‘প্রভাব খাটাতে’। এক অভিভাবক বলেন, তিনি সারাক্ষণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে ঘুরেন, আর আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে পড়ে ফেল করছে। আমরা কষ্ট করে সন্তানদের পড়াই, আর উনি ব্যস্ত পদ-মর্যাদার মোহে।
ঘটনার পর স্কুলে খোঁজ নিতে গিয়েও প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে আরো প্রশ্ন উঠেছে তাঁর জবাবদিহিতা নিয়েও।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নবনিযুক্ত সভাপতি আনোয়ার হোসেন নয়ন জানান, তিনি মাত্র ২০-২৫ দিন আগে দায়িত্ব নিয়েছেন। এখনও কাজ করার সুযোগ পাননি। তবে ফলাফল শুনে তিনিও হতবাক। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্যর্থতার মূল কারণ অনুসন্ধান করা হবে।
এদিকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরীন জানিয়েছেন, বোর্ডের আওতাধীন ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেখানে শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হলে আমরা শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে বিস্তারিত তদন্ত করব।
শিক্ষার্থীদের এমন ভয়াবহ ব্যর্থতা শুধু একটি স্কুলের নয়, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি এক বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিভাবকরা দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নজরদারি দাবি করেছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে