শিরোনাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৩৪, ৩০ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
নিহত মোস্তফা কামাল ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মুমিনের ছেলে। তিনি কালিকচ্ছ বর্ডার বাজারে মুদি দোকানি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন মোস্তফা কামাল। পথিমধ্যে নন্দিপাড়া সড়কের পাশে ওত পেতে থাকা চার-পাঁচ জন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত করে মাটিতে ফেলে রেখে সঙ্গে থাকা মালপত্র ও টাকা-পয়সা লুটে নেয়। পরে পথচারীরা তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক না থাকায় দ্রুত তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, মোস্তফা কামাল এর আগেও একাধিকবার ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। পরিবারটির নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ ছিল।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম জানান, কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোস্তফা কামাল নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোক বইছে। অনেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নোয়াগাঁও গ্রামের অধিবাসী নিসার আহমেদ মিঠু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব, সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করায় মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তাই এমন ঘটনাগুলোর প্রতিরোধ অথবা নিজেদের জীবন রক্ষার্থে আমাদের সোচ্চার হওয়া এখনই প্রয়োজন। অন্যথায় নির্মমভাবে আমাদেরকেও প্রাণ বিসর্জন দিতে হবে। তাই আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিই এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ