শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫:১৯, ১১ জুলাই ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছিল গত ১০ মে, ঢাকা বিভাগের মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। এরপর টানা দুই মাস জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে বৃক্ষরোপণের কর্মযজ্ঞ।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এই সবুজায়ন কার্যক্রম নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ জেলার পাঁচটি উপজেলা, ৩৯টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা, ৪২টি সরকারি দপ্তর, ৩১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১৮০.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক এবং ৪ কিলোমিটার খালের পাড়জুড়ে একযোগে পরিচালিত হয়েছে। মোট ৪৮ প্রজাতির স্থানীয় ও বিদেশি গাছ রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদেশি প্রজাতিগুলো হলো চেরি, গোলাপি ট্রাম্পেট, জাকারান্ডা, ফক্সটেল পাম, গ্লোরিয়া সিরিয়া এবং রেইন ট্রি।
বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড। এই সড়কে রোপণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার পিস দেবদারু গাছ, যা একে সবুজ ও দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যের করিডোরে রূপান্তর করেছে। এ ছাড়া, হাজিগঞ্জ দুর্গ, শীতলক্ষ্যা নদীর তীর এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক স্থাপনায়ও সবুজায়নের ছোঁয়া লেগেছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করেছেন জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী, সাধারণ নাগরিক, বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশ সচেতন সংগঠন। এতে কাজ করেছেন ১৫৬ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ১০০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ৬৬০ জন বাগান শ্রমিক এবং অন্তত ২০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য।
এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞ এখন শুধু একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নয়, বরং তা পরিণত হয়েছে এক সামাজিক ও নাগরিক আন্দোলনে, যেখানে মানুষ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকাভিত্তিক সৌন্দর্যবর্ধক গাছের পরিকল্পনা এই নগরীর দৃশ্যমান পরিবেশকে নতুন মাত্রা দিয়েছে, যা একে পর্যটনবান্ধব নগরীতে রূপ দিতে সহায়ক হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন,‘আমরা এমন একটি নারায়ণগঞ্জ গড়তে চাই, যেখানে নাগরিক সুবিধা, পরিবেশ রক্ষা ও ঐতিহ্য একসাথে লালিত হবে। এই কর্মসূচি সেই স্বপ্নের পথচলার সূচনা।’
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে