শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:১৮, ১৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৮:২৩, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভ ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘জাপানে উচ্চশিক্ষা ও কর্মী প্রেরণের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এই তথ্য জানানো হয়। সেমিনার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটস ইন বাংলাদেশ (আজলিব)।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশের জন্য জাপানের শ্রম বাজার উন্মুক্ত হচ্ছে। ব্যাংক বিদেশি শ্রমিকদের ন্যূনতম ৫ লাখ টাকার ঋণ দেবে। প্রতিবছর ১ লাখ শ্রমিক জাপানে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জাপান সেল। ৬ মাসের মধ্যে কর্মী প্রেরণ করতে না পারা রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, দেশের শ্রমিক দক্ষ না হওয়ায় বিদেশে তারা কম বেতনে কাজ করতে বাধ্য হন, যা অনেক সময় অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে দেয়। নেপাল এ ক্ষেত্রে আমাদের অনেক এগিয়ে আছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশের বন্দিদের ২৫ শতাংশ বাংলাদেশি, যা দক্ষতা ও প্রস্তুতির ঘাটতির ফল।
সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন আজলিব সভাপতি মো. ওয়াকিল আহেমদ, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। টপ জে বাংলাদেশ ও বিডিজবস-এর সহযোগিতায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাপান সেলের প্রধান শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, পলিসি অ্যাডভাইজার জিয়া আহসান, বিডি জবসের সিইও ফাহিম মাশরুর, এবং ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, কর্মীরা যাতে দক্ষ হয়ে জাপানে যায় এবং উচ্চমানের চাকরি পায়, সেই প্রস্তুতি জরুরি। এ জন্য শিক্ষার্থী ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও ভাষা শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
সভায় আজলিব সভাপতি ওয়াকিল আহেমদ বলেন, দুই দশক ধরে জাপানে বাংলাদেশের শ্রমিকদের পাঠানোর কাজে নিয়োজিত আছি। সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে এখন এ কার্যক্রম আরো কার্যকর হচ্ছে।
জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা উত্তীর্ণ হলে এবং টিউশন ফি পরিশোধে সহজ পদ্ধতি থাকলে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সরকার আগামী বছর ১০ হাজার শিক্ষার্থী পাঠানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
সেমিনারটি জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় এবং জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে আজলিবের ২০০ প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং বাংলাদেশে জাপানি ভাষা শিক্ষাদানকারী বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলী ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে