শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯:০৫, ১৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ২০:২৪, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ছবি: ঢাকা এক্সপ্রেস
দীর্ঘ ২৩ বছর পর হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও কাঙ্ক্ষিত কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হলো নেতা-কর্মী ও পদপ্রত্যাশীদের।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে হোসেনপুর নতুন বাজার ঈদগাহ মাঠে উপজেলা বিএনপির একাংশের উদ্যোগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম মবিন। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম, এবং উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ।
সম্মেলনের সময় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল—কে হবেন প্রত্যাশিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রথম পর্ব শেষ হলেও কমিটি ঘোষণা হয়নি, ফলে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হতাশায় পড়েন।
চলতি কমিটি ঘোষণার আগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিতেই বিভাজন শুরু হয়। পাঁচ যুগ্ম আহ্বায়ক—আবুল হাসিম সবুজ, এসএম মাহবুবুর রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম কাঞ্চন, আবু বক্কর সিদ্দিক বাক্কার ও অ্যাডভোকেট মনিরুল হক রাজন—অলাদা নেতৃত্ব গড়ে তুলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক ঢাকা মেয়র মির্জা আব্বাসের অনুসারী হিসেবে নিজেদের দাবি জানান।
অন্যদিকে সম্মেলনের আয়োজক আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মবিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল হতাশা প্রকাশ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, অচিরেই কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করা হবে।
সভা মুলতবি করে বিদায়ী বক্তব্যে আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মবিন বলেন, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের মামলায় জেল-জুলুম খেটেছি। আমার দুটি কিডনি নষ্ট। তবুও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় থেকেছি। আশা করি, খুব শিগগিরই কমিটি ঘোষণা হবে। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা হঠাৎ কাউন্সিল না করে চলে যাওয়ার কারণ জানানো হয়নি।
ফলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সম্মেলনে কমিটি না ঘোষণা হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে