শিরোনাম
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:৩৮, ১৯ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৩৯, ১৯ আগস্ট ২০২৫
নিহত শিশু তামিম
পরিবারের বরাতে জানা যায়, ১৫ আগস্ট বিকালে তামিম বাড়ির কাজের লোক তুহিন শেখের সঙ্গে খেলতে বের হয় এবং এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সন্ধ্যার পর পরিবারের খোঁজাখুঁজির পর তুহিনের মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের প্রস্তুতির থাকা সত্ত্বেও শিশুটির জীবন রক্ষা হয়নি।
মধুখালী থানা পুলিশ জানিয়েছে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১৮ আগস্ট রাতে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বড়গাতি গ্রামের বাসিন্দা তুহিন শেখকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কোরকদী ইউনিয়নের বাঁশপুর গ্রামে একটি জমির আইলের নিচে চাপা অবস্থায় তামিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তুহিন প্রায় এক বছর আগে নিহত তামিমদের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেছিল। এরপর ১৫ দিন আগে আবার আসার পর তিনি এলাকায় পরিচিতি গড়ে তোলে এবং ঘটনার দিন তামিমকে সঙ্গে নিয়ে বের হয়।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, মুক্তিপণের দাবিতে শিশুটিকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। একজনকে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তুহিন শেখসহ দুজনকে ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে সমাজে অপরাধ আরো বাড়তে পারে। শোকাহত পরিবারও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ইউকে