শিরোনাম
শিক্ষা ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৪৯, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চাকরিপ্রার্থী মো. রাফিউল আলম বলছেন, ‘৪৫তম বিসিএসই আমার জন্য শেষ সুযোগ ছিল। বয়স ২৯ বছর ৩ মাস থাকতেই আবেদন করেছিলাম। এখন বয়স প্রায় ৩১ বছর ৮ মাস। লিখিত পরীক্ষাও ভালো হয়েছিল। তাই মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু এখনও কোনো ফল নেই। এই বিসিএস না হলে আর কিছু করার থাকবে না।’
এমন অবস্থা শুধু রাফিউলের নয়, প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হাজারো চাকরিপ্রার্থীর মনেও একই হতাশা। অভিযোগ, পিএসসি একাধিকবার সময় দিলেও ফল প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে সময়সূচির জটিলতায় ৪৫তম বিসিএস সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছে।
চাকরিপ্রার্থীদের আশঙ্কা, লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে এমন বিলম্ব হলে, মৌখিক পরীক্ষা ও চূড়ান্ত সুপারিশসহ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতেই লেগে যেতে পারে চার থেকে সাড়ে চার বছর।
এ বিষয়ে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা দ্রুত বিসিএস প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা করলেও মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। পিএসসি এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল কয়েকটি বিসিএস সমান্তরালভাবে চালিয়ে দ্রুত শেষ করার। কিন্তু পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার পরপরই প্রার্থীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সময়সূচি এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।’
চাকরিপ্রার্থীরা দ্রুত লিখিত ফল প্রকাশ ও মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, দীর্ঘসূত্রতা চলতে থাকলে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বেন এবং যোগ্যতাসম্পন্ন তরুণদের সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ কমে যাবে।
ঢাকা এক্সপ্রেস/ বিডি