শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:৫৫, ২৭ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৩:০৮, ২৭ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত তবে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে সৎ অভিপ্রায় দেখতে চায়।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে ফুমথাম এ মন্তব্য করেন। পোস্টটি ট্রাম্পের স্কটল্যান্ড সফরের সময় করা একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের প্রতিক্রিয়া। ট্রাম্প বলেন, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও ফুমথামের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সংঘাত বন্ধ না হয়, তাহলে কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি হবে না।
ট্রাম্প লিখেছেন, উভয় পক্ষই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তি চেয়েছে।
ফুমথাম আরো বলেন, তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন কম্বোডিয়ার পক্ষকে জানাতে যে, থাইল্যান্ড একটি দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতে চায়, যাতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হয়।
গত ১৩ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মতো নিহত হয়েছে এবং এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের আগে, থাই-কম্বোডিয়ার সীমান্তে সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে গড়ায় এবং নতুন নতুন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষই বলেছে, তারা আত্মরক্ষার্থে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং অপর পক্ষকে যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই সংঘাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ও আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আলোচনার কোনো বিস্তারিত জানাননি। হোয়াইট হাউসও তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনার সময় ও স্থান সম্পর্কে কিছু জানায়নি। ওয়াশিংটনে অবস্থিত থাই ও কম্বোডিয়ার দূতাবাসও কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
এদিকে আসিয়ান নেতৃত্বাধীন মালয়েশিয়া দুই দেশকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও থাইল্যান্ড জানিয়েছিল তারা তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চায় না। তবে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী আগেই আসিয়ান চেয়ার অনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আমি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসানকে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি এবং সংঘর্ষ থামানোর জন্য আমি নিজেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাব ।
এদিকে, সিএনএনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামরিক শক্তিতে থাইল্যান্ড অনেক এগিয়ে। কম্বোডিয়ার চেয়ে সেনা সদস্য প্রায় তিনগুণ, আছে আধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-সিক্সটিন ও গ্রিপেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, কম্বোডিয়ার বাহিনী তুলনামূলক দুর্বল, পুরানো সোভিয়েত ট্যাংক আর চীনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবেদনে বিশ্লেষকরা জানান, থাইল্যান্ড ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ, আর কম্বোডিয়া এখন চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
গত মে মাসের শেষ দিকে এক কম্বোডিয়ার সেনার মৃত্যুর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। সীমান্তে দুই দেশের সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয় এবং এই সংঘাত থাইল্যান্ডের নাজুক জোট সরকারকে পতনের মুখে ঠেলে দেয়।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ