ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

১৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ সফর ১৪৪৭

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরো ৮০ প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১:০৩, ২৯ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩০, ২৯ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরো ৮০ প্রাণহানি

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বরতায় একদিনে কমপক্ষে ৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনাহারে মারা গেছেন আরো ১৪ ফিলিস্তিনি। অনাহারে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন শিশু। খবর আল জাজিরার।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর অপুষ্টিজনিত কারণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে; যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু।

সম্প্রতি গাজায় খাদ্য সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরায়েল পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করে, যা মে মাসে আংশিক তুলে নেওয়া হলেও এখনও সীমিত পরিমাণে ত্রাণ ঢুকছে। জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সাহায্য ঢুকতে পারছে না।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তাকারী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ–এর প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি জানান, গাজায় অবস্থানরত তার সহকর্মীরা মানুষজনকে এমন অবস্থায় দেখছেন যেন তারা ‘না বেঁচে আছে, না মরেছে; যেন হাঁটতে থাকা লাশ’।

জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে তিনি বলেন, শুধু ক্ষোভ বা নিন্দা জানানো যথেষ্ট নয়। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে, দুর্ভিক্ষ রোধ করতে হবে এবং বন্দিদের মুক্ত করতে হবে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কটল্যান্ড সফরে সাংবাদিকদের বলেন, গাজায় প্রকৃত অর্থেই দুর্ভিক্ষ চলছে এবং ইসরায়েল এ অবস্থার জন্য ‘বড় ধরনের দায়’ বহন করে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগের দিন বলেন, গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই। তবে গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েল কাজ করছে।

গাজা সরকারের গণমাধ্যম অফিস জানায়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৪০ হাজারের বেশি শিশু ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে পড়ছে। কারণ গত ১৫০ দিনে ইসরায়েল শিশু খাদ্য ঢুকতে দেয়নি গাজায়।

সরকারি এক বিবৃতিতে সব সীমান্ত ক্রসিং অবিলম্বে এবং শর্তহীনভাবে খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন