শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩:৫৮, ২৯ জুলাই ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
সিটিই হলো আলঝেইমারের মতো মস্তিষ্কের রোগ। যা দীর্ঘদিনে মাথায় আঘাতের ফলে হতে পারে। সিএনএন জানিয়েছে, এটি সাধারণত আমেরিকার ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারীর নাম শেন ডেভন তামুরা (২৭)। তিনি লাস ভেগাসের বাসিন্দা ছিলেন। সিএনএনকে সূত্র জানিয়েছে, তামুরা এক সময় ফুটবল খেলতেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, বন্দুকধারীর মানসিক অসুস্থতার পেছনে ফুটবল খেলার সম্পর্ক থাকতে পারে।
তদন্তকারীরা বলছেন, চিরকুটটি গুলির ঘটনার পরে খুঁজে পাওয়া গেছে। এতে লেখা ছিল, ‘টেরি লং ফুটবল আমাকে সিটিই দিয়েছে। আর এটা আমাকে এক গ্যালন অ্যান্টিফ্রিজ খেতে বাধ্য করেছে। তুমি এনএফএল (আমেরিকার ন্যাশনাল ফুটবল লিগ) এর বিরুদ্ধে যেতে পারো না, ওরা তোমাকে গুঁড়িয়ে দেবে।’
টেরি লং ছিলেন পিটসবার্গ স্টিলার্সের (ফুটবল দল) একজন সাবেক খেলোয়াড়। তিনিও সিটিইতে আক্রান্ত ছিলেন এবং ২০০৫ সালে আত্মহত্যা করেন।
চিরকুটে আরো লেখা ছিল, ‘আমার মস্তিষ্কটা গবেষণা করো প্লিজ, আমি দুঃখিত। রিককে বলে দিও আমি সবকিছুর জন্য দুঃখিত।’
সিএনএন জানিয়েছে, বহুতল ভবনটিতে ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) করপোরেট অফিস ছিল। পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ জানিয়েছেন, বন্দুকধারী একটি বিএমডব্লিউ গাড়িতে এসেছিলেন। গাড়ির ভেতর কয়েক রাউন্ড গুলিসহ একটি রাইফেলের কেস, লোডেড রিভলবার, ম্যাগজিন ও ওষুধ পাওয়া গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেসিকা টিশ আরো বলেন, বন্দুকধারীর হামলার উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলছে। তবে তিনি মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল আলমসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এর মাঝে হামলাকারী আত্মহত্যা করেছেন।
ঢাকা এক্সপ্রেস/আরইউ